অবিলম্বে লোকাল ট্রেন চালুর দাবীতে বামেদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ

29th July 2021 1:25 pm বাঁকুড়া
অবিলম্বে লোকাল ট্রেন চালুর দাবীতে বামেদের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  অতিমারি জনিত কারন দেখিয়ে আদ্রা- খড়্গপুর,  বাঁকুড়া - মশাগ্রাম শাখায় সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ করে রেখেছে রেল কতৃপক্ষ।  অন্যদিকে কয়েকটি  স্পেশাল ট্রেন  ও দুটি লোকাল ট্রেনকে এক্সপ্রেস ট্রেনের তকমা দিয়ে পরিষেবা দিচ্ছে রেল। এর ফলে সাধারন যাত্রী কে বেশী টাকা দিয়ে যাতায়াত করতে চরম অসুবিধা ভোগ করতে হচ্ছে বলেই অভিযোগ। অন্যদিকে স্পেশাল ট্রেন গুলিতেও আগাম রিজার্ভেশন করে উঠতে হচ্ছে এর ফলে আরো বেশী ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়াও প্লাটফর্ম টিকিটের মূল্য অত্যধিক হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে পাশাপাশি রেলের খাবারের দামও বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়েছে। যাতায়াতের লাইফ লাইন কে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে রেল।  রেলের সময় সুচী অনুযায়ী ওই দুটি শাখায় সমস্ত লোকাল ট্রেন চালুর দাবি নিয়ে বিক্ষোভে নামলো বামেরা। আন্দোলনকারী দের দাবি, রেল যেভাবে করোনার কারন দেখিয়ে লোকল ট্রেন গুলি বন্ধ রেখেছে এর ফলে সাধারন যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এর সাথে  রিজার্ভেশনে বর্ধিত ফি, প্লাটফর্ম টিকিট ও রেলের খাবারের উপর বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবি জানায় আন্দোলনকারীরা।  লোকাল ট্রেন চালানো সহ একাধিক দাবি নিয়ে বৃহঃস্পতিবার সকালেই বাঁকুড়া স্টেশনে বিক্ষোভ দেখালো বাম নেতৃত্ব। পাশপাশি দাবি সম্বলিত একটি স্বারকলিপি আদরা ডিভিশনের ডি আর এম কে প্রদান করা হয় বাঁকুড়া স্টেশন ম্যানেজারের হাত দিয়ে।  আন্দোলনকারীদের হুশিয়ারি, দাবি না মানা হলে আগামী দিনে রেলের চাকা জ্যামের পথে হাঁটবেন  তারা। 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।